বিয়ানীবাজারে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ২০
বিয়ানীবাজারে গ্রাম্য প্রভাবকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আধঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের চরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের মতিউর রহমান ছানু ও সাহাবুদ্দিনের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। সাহাবুদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের একাধিকজন সম্প্রতি দেশে আসেন। মতিউর রহমান ছানুর পুত্র মাহফুজ আহমদ স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে থাকে। মাহফুজ আহমদ গং গত শনিবার সাহাবুদ্দিনের পরিবারের একাধিক সদস্যকে পথরোধ করলে পূর্ববিরোধ ফের চাঙ্গা হয়।
একপর্যায়ে সাহাবুদ্দিনের পরিবারপক্ষ থানায় অভিযোগ করলে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তদন্তে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে দুইপক্ষ সামাজিক নিষ্পত্তি মেনে ১০ হাজার টাকা করে কাছে জামানত দেন। কিন্তু দুপুরের দিকে সাহাবুদ্দিনের চাচাত ভাইয়ের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় গোষ্ঠীর সবাই চলে যাওয়ার সুযোগে মতিউর রহমান ছানু, তার পুত্রের কিশোর গ্যাং নিয়ে সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আহত হন সাহাবুদ্দিন ও ময়নুল ইসলাম।
খবর পেয়ে সাহাবুদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকজন জড়ো হলে দুপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল ব্যবহার করে।
আধঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে হারুন রশীদ, আমজাদ হোসেন, রাহাত আহমদ, পারভেজ আহমদ, মতিউর রহমান, মানিক আহমদ, কামাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল হাফিজ, জসীম উদ্দিন, জাহেদ আহমদ, শিহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও আলী আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। অপর আহতরা অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ৩-৪দিন থেকে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চললেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেননি। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ইন্ধন প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জালাল আহমদ ও ইউপি সদস্য জামিল আহমদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ওই এলাকায় পানি থাকায় কিছুটা দেরীতে পুলিশ পৌঁছে। আমরা সংঘর্ষ থামিয়ে ইন্ধনদাতাদের ২-৩ জনকে আটক করেছি।