মধ্যরাতে ব্রাজিল-ইংল্যান্ডের আগুনে-লড়াই
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিল বরাবরই বড় নাম; পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আন্তর্জাতিক সাফল্যে ইংল্যান্ড ব্রাজিলের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মানের কারণে ইংলিশরা সবসময়ই থাকে আলোচনায়। আজ সে দুই দলের প্রীতি ম্যাচ।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইউরোপ ও লাতিন অঞ্চলের দুই জায়ান্ট।
ম্যাচ শুরুর আগের খবর হচ্ছে ইনজুরিতে খর্বশক্তির ব্রাজিল দল। এছাড়া গত বিশ্বকাপের পর দলটি সাফল্য পাচ্ছে না মোটেও। কোচ বদলেছেন, কিন্তু দলের ভাগ্য বদলায়নি। তার ওপর রয়েছে ইনজুরি। যে কারণে বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
ব্রাজিল এই ম্যাচে পাচ্ছে না নেইমারকে। পাচ্ছে না লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার, ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন, আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল ত্রয়ী জেসুস, মার্টিনেল্লি ও মাঘালহায়েস, পিএসজির মার্কুইনোস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরো।
দলে এত এত তারকা খেলোয়াড় না থাকলেও ব্রাজিলের আলো ছড়ানোর মতো তারকার অভাব হচ্ছে না। আলো থাকবে যাদের ওপর: ব্রাজিল কোচ ডরিভাল জুনিয়রের যেমন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো গোয়েস আছেন। মিডফিল্ডে ডগলাস লুইস, লুকাস পাকুয়েতা ও ব্রুনো গিমারেজ ছন্দে আছেন। রক্ষণে পিএসজির বেরাল্ডো আলো কেড়েছেন। তেমনি গোলরক্ষক বেন্তোও নতুন দিনের অ্যালিসন-এদেরসন হওয়ার আশা দিচ্ছেন। ইউরোপের ক্লাবগুলো নজর রাখছে তার ওপর।
কেবল ব্রাজিলই নয়, ইংল্যান্ডেও আছে ইনজুরির থাবা। ইংল্যান্ডকে খেলতে হবে স্ট্রাইকার হ্যারি কেন ও মিডফিল্ডার জর্ডান হ্যান্ডারসনকে ছাড়া। আর্সেনাল উইঙ্গার বুকোয়াকা সাকা খেলতে পারবেন না। দুই ফুল ব্যাক লুক শ’ ও কিয়েরন ট্রিপিয়ার ইনজুরিতে। অনিশ্চিত চেলসির কোলে পালমারও। তারপরও উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো দল আছে দুই কোচের হাতে।
ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের তেমনি হ্যারি কেনের জায়গা পূরণ করতে আছেন ওলি ওয়াটকিসন। যিনি প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। জুড বেলিংহাম-ফিল ফোডেনরা উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো ফুটবলার। মিডফিল্ডে ম্যাডিসন-কনর গ্লাঘার আছেন। তরুণ কোবি মাইনো আলো কাড়তে প্রস্তুত। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের সামনে কাইল ওয়াকার, জোন স্টোনসরাও প্রমাণিত। সব মিলিয়ে আগুনে এক লড়াইয়ের আশা ভক্তরা করতেই পারে।
ব্রাজিলের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: বেন্তো ম্যাথিউস (অ্যাথলেটিকো পারানায়েনসে), দানিলো (জুভেন্টাস), গ্লেসন ব্রেমার (জুভেন্টাস), লুকাস বেরাল্ডো (পিএসজি), ওয়েনডেল (পোর্ত), ব্রুনো গিমারেজ (নিউক্যাসল), ডগলাস লুইস (অ্যাস্টন ভিলা), লুকাস পাকুয়েতা (ওয়েস্ট হাম), রদ্রিগো গোয়েস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম)।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: জর্ডান পিকফোর্ড (এভারটন), কাইল ওয়াকার (ম্যানসিটি), জোন স্টোনস (ম্যানসিটি), হ্যারি মাগুইরা (ম্যানইউ), বেন চিলওয়েল (চেলসি), ডেক্লান রাইচ (আর্সেনাল), কনর গ্লাঘার (চেলসি), জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ), ফিল ফোডেন (ম্যানসিটি), মার্কোস রাশফোর্ড (ম্যানইউ), ওলি ওয়াটকিনস (অ্যাস্টন ভিলা)।