মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পাগলা কুকুরের কামড়ে গত তিন দিনে ১৬ জন আহত হয়েছেন। কুকুরের কামড়ে আহত ১৬ ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ।
চিকিৎসা নেয়া ব্যক্তিরা জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই হঠাৎ করেই একটি পাগলা কুকুর শিশু সহ বয়স্কদের কামড় দিয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- মো. আলী (২৫), সুমন (৪০), হরিধন দাস (৫০), মো. সুমন মিয়া (২২), রামেন্দ্র দেব (৬৫), সুজন বৈদ্য (২৮), চন্দ্রিমা (৩২), শিহাব (৪০), ইব্রাহিম (৪), তাজুল ইসলাম (২৭), লাদেন (২২), রাজিব (৩৫), নিবারন সিংহ (৫২), নাহিদ (১৮), ইসমাইল (৩১) ও ইমাদ (৪)।
স্থানীয় সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী মামুন আহমেদ বলেন, বেওয়ারিস কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছেন। শহর জুড়ে এদের রাজত্ব যেন দেখা দিয়েছে। যদি এই কুকুরকে না মারা হয় তাহলে আরও মানুষকে কামড় দিতে পারে। সবাইকে একটু সাবধানে চলাফেরা ও খেয়ালে থাকতে হবে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কর্ণ চন্দ্র মল্লিক জানান, কুকুরের কামড়ের বিষয়টি জানার পর শ্রীমঙ্গল শহরে সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি। তাছাড়া আমাদের আর কিছু করার নাই। কিন্তু গরু ছাগল বা অন্য প্রাণীদের যদি কুকুর কামড় দেয় তাহলে আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন‘শুনেছি আমাদের উপজেলায় কয়েকজন মানুষকে পাগল কুকুর কামড় দিয়েছে। আমাদের কাছে ভ্যাকসিন ছিল না সেজন্য তারা মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিয়েছে। আজ রবিবার বিকালে আমরা নিয়ে আসছি ভ্যাকসিন জেলা থেকে।
তিনি আরও বলেন, সদর থেকে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা বাকি ডোজ গুলো আমাদের কাছ থেকে নিতে পারবেন। একটি ভায়াল থেকে ৪ জন রোগীকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। একজন করে রোগী যদি আসেন তাহলে দেওয়া যায়না। একসাথে ৩-৪ জন আসলে ভালো হয়। যদি একজনকে ভায়াল দেওয়া হয় পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের ভিতরে যদি অন্য কাউকে না দেওয়া হয় তাহলে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে।’