সিলেট ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে সম্পতির জন্য ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করল ভাইয়েরা

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইদের হামলায় আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল লতিফের পুত্র আব্দুল হামিদ কালা মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় নিজের নামে বাড়ির অদূরে জায়গা ক্রয় করেন। দেশে এসে এসব জায়গার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।

বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠক বসে। এতে মিমাংসা না হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এদিকে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া তার জমিতে চাষ করার উদ্দেশ্যে কাজ করতে গেলে তার আপন ভাই আব্দুল জলিল, ফারুক মিয়া ও চাচাতো ভাই আব্দুল খালিক বাঁধা দেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আপন ভাই ও চাচাতো ভাইয়েরা মিলে হামিদকে পিটিয়ে হত্যা করে। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বড়লেখা উপজেলার সুজানগর সিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর দুইজন সৌদি প্রবাসী।

নিহতের ছেলে আপ্তাব মিয়া বলেন, আমার বাবা অসুস্থ মানুষ। আমার চাচাদের আপত্তিতে আব্বা অনেকদিন থেকে কাজ স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। সকালে আব্বা জমিতে গেলে চাচারা সেখানেই আব্বাকে হত্যা করে। আমার বাবা হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।

জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়ঃ

বিস্তার কমেছে দাবদাহের, লঘুচাপের পূর্বাভাস

জুড়ীতে সম্পতির জন্য ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করল ভাইয়েরা

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৯:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইদের হামলায় আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল লতিফের পুত্র আব্দুল হামিদ কালা মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় নিজের নামে বাড়ির অদূরে জায়গা ক্রয় করেন। দেশে এসে এসব জায়গার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।

বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠক বসে। এতে মিমাংসা না হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এদিকে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া তার জমিতে চাষ করার উদ্দেশ্যে কাজ করতে গেলে তার আপন ভাই আব্দুল জলিল, ফারুক মিয়া ও চাচাতো ভাই আব্দুল খালিক বাঁধা দেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আপন ভাই ও চাচাতো ভাইয়েরা মিলে হামিদকে পিটিয়ে হত্যা করে। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বড়লেখা উপজেলার সুজানগর সিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর দুইজন সৌদি প্রবাসী।

নিহতের ছেলে আপ্তাব মিয়া বলেন, আমার বাবা অসুস্থ মানুষ। আমার চাচাদের আপত্তিতে আব্বা অনেকদিন থেকে কাজ স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। সকালে আব্বা জমিতে গেলে চাচারা সেখানেই আব্বাকে হত্যা করে। আমার বাবা হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।

জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।